Wellcome to National Portal
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পটভূমি

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের এক দশমাংশ আয়তন জুড়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল। রাংগামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান তিনটি জেলা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল গঠিত। এ তিনটি জেলার মোট আয়তন ১৩,২৯৫ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী এ অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ১৫,৮৭,০০০ জন।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও জাতিসত্তা সমূহের অধিবাসীদের মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চংগ্যা, ম্রো, লুসাই, বোম, পাংখো, খুমি, চাক, খেয়াং প্রভৃতি উপজাতি রয়েছে। অ-উপজাতীয়দের মধ্যে ৪৮ ভাগ মুসলমান এবং বাকীরা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। এসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তা ও অ-উপজাতীয় জনগোষ্ঠী তাদের নিজ নিজ ভাষা, সাংস্কৃতি, ধর্ম, ঐতিহ্য ও কৃষ্টির ¯¦কীয়তা বজায় রেখে যুগ যুগ ধরে একে অপরের পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলটি ১৮৬০ সালে একটি স্বতন্ত্র জেলার মর্যাদার লাভ করে। পরবর্তীতে এ অঞ্চলকে তিনটি জেলায় রূপান্তরিত করা হয়। বর্তমানে তিনটি পার্বত্য জেলায় মোট  ৭টি পৌরসভা এবং ২৬ টি উপজেলা আছে।পাহাড়, বন, নদী, ঝর্ণা-এ অঞ্চলকে ¯বতন্ত্র ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য দান করেছে। এ অঞ্চলের নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব অপরিসীম। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য অবকাঠামোসহ অন্যান্য খাতসমূহে সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনঃ

          যুগ যুগ ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও জাতিস¦ত্তা এবং অ-উপজাতীয় জনগণ বসবাস করছে। উপ-জাতীয়রা যেমন একদিকে সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের অধিকারী,অন্যদিকে তারা মূল জনগোষ্ঠীর অপরিহার্য অংশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহন ও বা¯তবায়ন করে আসছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর সংবিধানের আওতায় রাষ্ট্্রীয় সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতার প্রতি পূর্ণ ও অবিচল আনুগত্য রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল নাগরিকের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও অর্থনৈতিক অধিকার এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা সহ বাংলাদেশের সকল নাগরিকের স্ব স্ব অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তির শর্তানুযায়ী ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়।

 

মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/প্রতিষ্ঠান সমূহঃ

(১) পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ,

(২) পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড,

(৩) ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয়  শরনার্থী প্রত্যাবাসন ও পুর্নবাসন এবং অভ্যন্তরীন উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুর্নবাসন বিষয়ক  টাস্কফোর্স 

(৪) রাংগামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ,

(৫) খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ,

(৬) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ,     

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এর নিয়ন্ত্রানাধীন দপ্তর সমুহের জনবলের বিবরনঃ

কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সংখ্যা (রাজস্ব বাজেটে)ঃ

মন্ত্রণালয়/সংস্থার নাম

অনুমোদিত পদ

পূরণকৃত পদ

শূন্য পদ

পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়

৬৮

৫২

১৬

অধিদপ্তর/সংস্থাসমূহ/সংযুক্ত অফিস (মোট পদ সংখ্যা)

পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ

৭৩

৪৯

২৪

 

পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড

১৫১

১২৫

২৬

ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয়  শরনার্থী প্রত্যাবাসন ও পুর্নবাসন এবং অভ্যন্তরীন উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুর্নবাসন বিষয়ক  টাস্কফোর্স 

২২

১৪

০৮

পার্বত্য জেলা পরিষদ, রাংগামাটি

­৭২

৬৫

০৭

পার্বত্য জেলা পরিষদ, বান্দরবান 

৭০

৬২

০৮

পার্বত্য জেলা পরিষদ, খাগড়াছড়ি

৭১

৬৪

০৭

মোট 

৫২৭

৪৩১

৯৬